তাপপ্রবাহের মধ্যে যেভাবে প্রচার করছেন প্রার্থীরা
পশ্চিমবঙ্গ-জুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে। গরম হাওয়া বইছে। তার মধ্যেই চলছে ভোটপ্রচার।
খেতে হচ্ছে ডাব
ভরদুপুরে প্রচার করছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাপমাত্রা তখন ৪৩ ডিগ্রি। গরম হাওয়া বইছে। সেই সময় গরমের হাত থেকে বাঁচতে প্রচারের ফাঁকে ডাবের জল খাচ্ছেন সেলিম।
মাথায় টুপি পরতেই হচ্ছে
বহরমপুরে প্রচার করছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তখন সকাল সাড়ে নয়টা বাজে। অধীর খোলা জিপে উঠলেন। রোদের হাত থেকে বাঁচতে মাথায় টুপি ছিল। এখন টুপি ছাড়া, সকালে বা দুপুরে প্রচার করার প্রশ্নই উঠছে না।
গ্লুকোজ দেয়া জল
শুধু তো নেতা নন, কর্মীরাও এই রোদে হাঁটছেন। সাধারণ মানুষ নেতাদের দেখতে আসছেন। তাদের সকলের জন্য জলে গ্লুকন ডি গোলা হচ্ছে। শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে। না হলেই শরীর খারাপ হয়ে যাবে।
চোখে-মুখে জলের ঝাপটা
কখনো খোলা জিপে ঘুরছেন। কখনো আবার হাঁটতে হচ্ছে। গরম হাওয়া লাগছে। তাই মাঝেমধ্যেই চোখে-মুখে জল দিতে হচ্ছে। গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য। মুর্শিদাবাদে মহম্মদ সেলিমের ছবি।
ছায়ায় রচনা
হুগলিতে প্রচার করছিলেন রচনা। তার গাড়ি গিয়ে দাঁড়ালো একটা আদিবাসী গ্রামে। ছায়ায় গিয়ে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী। তারপর চললো ছবি তোলা পর্ব।
নতুন অভিজ্ঞতা
রচনা বলছিলেন, এই গরমে এইভাবে প্রচার করাটা তার কাছে একটা নতুন অভিজ্ঞতা। এমনিতে অভিনয় করার সময় নাচ-গান বা অন্য শট দিতে হয়। কিন্তু প্রতিদিন এইভাবে এতটা গরমের মধ্যে প্রচার করার অভিজ্ঞতা তার কাছে একেবারে নতুন।
মানুষের মাথায় ছাতা
গরমে যারা বেরোচ্ছেন তাদের মাথায় থাকছে ছাতা। চোখে সানগ্লাস বা রোদচশমা থাকলে ভালো হয়। উপরের ছবিটি মালদহের চরের। সেখানে বেরোলে ছাতা চাইই।
গলায় গামছা
সেলিমের মতো অনেকেই গলায় গামছা রাখছেন। ঘাম মোছার কাজে লাগছে। চোখে-মুখে জল দেয়ার পর গামছা দিয়ে মুখ মুছে নেয়া যাচ্ছে। অনেক সময় রোদের হাত থেকেও বাঁচাচ্ছে এই গামছা।
এভাবেই প্রচার চলছে
সকাল থেকে এভাবেই প্রচার করছেন প্রার্থীরা। তাদের তো মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। তাই প্রচারে বিরাম নেই। প্রচুর জল খাচ্ছেন সবাই। কারণ, শরীরটাকে তো ঠিক রাখতে হবে। ইউসুফ পাঠানও তাই টুপি পরতে ভুলছেন না।